মাদক মাদক বিরোধী মত বিনিময় সভা
কোন ধরণের মাদক দ্রব্য কুম্ভার পাড়ায় প্রবেশ করবে না। আমরা নিজেরা মাদক সেবন করব না ... এলাকার মানুষকে মাদকে আক্রান্ত হতে দেব না। রাত ১১ টার পর অকারণে কেউ বাইরে ঘুরাফেরা করব না। এলাকার মধ্যে বহিরাগত কেউ ঘুরাফেরা করতে দেখলে প্রথমে ভদ্রভাবে কারণ জানতে চাইব, সন্দেহ জনক মনে হলে এলাকার কমিউনিটি পুলিশিং কমিটি (CPC)'র সভাপতি, ওয়ার্ড কমিশনারকে অবহিত করিব। প্রয়োজন হলে তিনি ঐ বহিরাগতের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন। আমরা কেউ নিজের হাতে আইন তুলে নেব না, আইনের প্রতি শ্রদ্ধা রাখিব ... আইন শৃঙ্খলা বাহিনী তথা এলাকার কমিউনিটি পুলিশিং কমিটিকে সর্বাত্বক সহযোগিতা প্রদান করিব। ----- সমাজ মাদকমুক্ত রাখার লক্ষ্যে জনসচেতনতা সৃষ্টি ধারাবাহিক কর্মসূচীর কুম্ভার পাড়া দোকান প্রাঙ্গণে গতরাতের মত বিনিময় সভায় এই প্রত্যয় ব্যক্ত করেন এলাকার সর্বস্তরের মানুষ।
মাদকের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছে রশিদা পুকুর এলাকার যুব সমাজও ... আপনিও সোচ্চার হউন। সমাজ থেকে মাদক নির্মূল হবেই হবে, ইনশাআল্লাহ।
লেখাটা শুরু করার আগে কলিকাতার মজার গল্পটা শুনুন- কলিকাতা শহরে নাকি পকেট মারের উপদ্রব খুবই বেশী। পকেটে টাকা নিয়ে কলিকাতা শহরে গিয়ে পকেটমারের হাত বাঁচতে পেড়েছে এমন মানুষ নাকি খোঁজে পাওয়া দুষ্কর। তাই শুনে এক লোক পকেটে কিছু টাকা নিয়ে কলিকাতা শহরের এপাশ ওপাশ হেঁটে পকেটে তার টাকাগুলো ঠিকঠাক আছে দেখে গর্বের সাথে চিৎকার করে বলল “কলিকাতা শহরে নাকি কেউ টাকা নিয়ে হাঁটতে পারে না, পকেটমারে মেরে দেয়, অথচ আমি পকেটে টাকা নিয়ে শহরের এপাশ ওপাশ কয়েকবার হেঁটেছি আমার পকেট থেকে কেউ টাকা নিতে পারেনি” কথাটা শুনে এক পকেটমার বলল- “ভাই আপনার পকেটে চারটা ছেঁড়া এক টাকার নোট আছে, আমি তা চারবার নিয়ে চারবার আপনার পকেটে রেখে দিয়েছি” এবার কলিকাতা শহরে পকেট মার আছে নাকি নাই সেটা আপনারা ভাবতে থাকেন আমি আমার পরবর্তী কথায় চলে যাচ্ছি।
এক সময় আমাদের দেশে কেউ দুই কেজি চাল নিয়ে রাতে রাস্তা দিয়ে যেতে পারত না, ঝাপটাবাজরা কেড়ে নিত। পকেটে টাকা নিয়ে বাজারে গেলে পকেটমার থেকে বাঁচতে পেরেছে এমন লোকের সংখ্যা খুবই কম। প্রতি বাজারবারে দুই চারটা পকেট মারের কথা শুনতাম। প্রায় রাতে ঝাপটাবাজরা পদচারীদের সর্বস্ব কেড়ে নেওয়ার কথা শুনতাম। এখন সেটা তেমন একটা শুনা যায় না। কেন শুনা যায়না, আমাদের দেশের পকেটমার আর ঝাপটাবাজরা ভাল হয়ে গেছি নাকি কলিকাতা শহরের ঐ পকেটমারের অবস্থা হয়েছে সেটা আমি জানি না। আপনারা বিশ্লেষণ করে বের করার চেষ্টা করেন। ততক্ষণে আমি আসল কথাটা বলি।
গত বছর বর্ষাকালে বাড়ী থেকে ছাতা নিয়ে দোকানে এসে ভেজা ছাতাটা বাইরে রেখে দোকান খুলে কিচ্ছুক্ষণ পর ছাতাটা খোঁজতে গিয়ে দেখি ছাতাটা নেই, এর কয়েকদিন আগে রিক্সায় করে আসার সময় রিক্সাতে একটা ছাতা ফেলে এসেছিলাম, পরে তাও আর খুঁজে পাওয়া যায়নি। বউয়ের অনেক বকাও শুনেছি। এই বছর একটা ছাতা পাঁচদিন ধরে দোকানের বাইরে রাখছি অথচ কেউ নিচ্ছে না। তবে আলামত দেখে বুঝতে পেরেছি ছাতাটা একটু নাড়াচাড়া হয়েছে। কেন নেয়নি, যারা বুদ্ধিমান তারা হয়তো এতক্ষণে বুঝে গেছেন। যারা বুঝেননি তাদের জন্য বলছি- আমার ছাতাটার ফলা ভাঙ্গা, খিলি নাই, বলতে গেলে ব্যবহারের প্রায় অনুপযোগী। তাহলে দেশে চোর নাই, ঝাপটাবাজ নাই, আমি কি দাবী করতে পারি?