দীর্ঘ ১৮ বছর ধরে কম্পিউটার ঘাটাঘাটি করছি। আয় রোজগারের মাধ্যমও কম্পিউটার। দীর্ঘ প্রায় ৮ বৎসর যাবত অনলাইনে আছি। আমার একটা মাত্র ফেসবুক আইডি আছে। একটা মাত্র বলছি এই কারণে যে, অনেক বন্ধুর দেখি ২/৪ টা আইডি আছে। তাই আমার বেলায় মাত্রটা অবশ্যই প্রযোজ্য। আবার এই ব্লগ সাইটেও আমার একটি মাত্র ব্লগ আইডি আছে। ৬ বছর আগে এই ব্লগ সাইটে যুক্ত হয়ে এই পর্যন্ত ২০ টা ব্লগ লিখেছি। যদিও আপনাদের ব্লগের তুলনায় আমার ব্লগগুলো কোন ব্লগই নয়। আমার লেখার কোন সারেগামা নেই। তবুও তো বলতে হবে এগুলো ব্লগ। আসলে উপরের লেখাগুলো আমার এই লেখার হেডলাইনের বিষয়বস্তুর মধ্যে পড়ে না। তবুও লিখলাম আমার অভিজ্ঞতা তুলে ধরতে। উপরের লেখাগুলো যদি বিবেচনা করি তাহলে কম্পিউটার এবং অনলাইনে আমার অনেক অভিজ্ঞতা আছে মনে হবে। তাই তো যে, মানুষ ১৮ বৎসর ধরে কম্পিউটার ঘাটাঘাটি করে। ৮ বৎসর যাবত অনলাইন বা ফেসবুকে এক্টিভ থাকে, ৬ বৎসর যাবত ব্লগে থাকে তার কি অভিজ্ঞতা কম বলা যাবে? নিশ্চয় না। আমার ছেলের বয়সী কোন এক ছেলে বছর পাঁচেক আগে কম্পিউটার শিখে এখন নাকি ওয়েব ডিজাইনার এণ্ড ডেভেলপার। অথচ আমি ওয়েভ ডিজাইন এন্ড ডেভেলপমেন্ট কাকে বলে শুনিও নাই। এবার তো নিশ্চয় বলবেন আমার মত অজ্ঞ, অলস, নিষ্কর্মা পৃথিবীতে বোধয় আর কেউ নেই। না হলে ১৮ বছর ধরে কম্পিউটার ঘাটাঘাটি করে ৮ বছর অনলাইনে এক্টিভ থেকে কেন জানলাম না ওয়েব ডিজাইন বা ডেভেলপমেন্ট কাকে বলে। এবার আমাকে আপনাদের কিছু বলার থাকলে বলেন। আমি যাচ্ছি আমার এই ব্লগ লেখার মূল উদ্দেশ্যে।
আমার এই ব্লগ লেখার মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে-- বিগত ৮ বৎসর অনলাইনে ফেসবুকে লেখালেখি করে, বিভিন্ন অনলাইন পত্রিকা, ব্লগ ইত্যাদি পড়তে পড়তে মনে একটা সাধ জেগেছে নিজে একটা ওয়েবসাইট তৈরী করব। যেই না সাধ জেগেছে সেই মতে শুরু করেছি কাজ। ফ্রি সাইট থেকে "স্বপ্নের ফটিকছড়ি" নামে একটা ওয়েবসাইট তৈরী করেও ফেলেছি। সরি এই লিঙ্কে ভুলেও ক্লিক করে আমাকে লজ্জা দেবেন না।
থাক, এবার আসি প্রাপ্তির গল্পে। এই ওয়েবসাইট তৈরী করতে গিয়ে একেবারে প্রাপ্তিহীন শূন্য হাতে ফিরেছি তা কিন্তু নয়। যেখানে ওয়েবসাইট কাকে বলে জানতাম না সেখানে যে একটা ওয়েবসাইট তৈরী করে ফেলেছি চাট্টিখানি ব্যাপার না। এই ওয়েবসাইটের কোথায় কি লিখতে হবে, কিভাবে লিখতে হবে এগুলো শিখতে গোটা পঞ্চাশেক টিউটোরিয়াল পড়েছি, এই বিষয়ের উপর ৮/১০ ভিডিও দেখেছি। এবার বুঝতে পারেন এই বিষয়ে আমি কতটা শ্রম দিয়েছি। আমার শ্রম যে একেবারে বৃথা গিয়েছে তাও কিন্তু নয়। এই যে উপড়ে যে লিঙ্ক গুলো দিয়েছি- লিঙ্ক কিভাবে দিতে হয় সেটাও আমি জানতাম না, এটাও শিখেছি এই শ্রমের বিনিময়ে। ওয়েব ডিজাইন কিভাবে করতে হয়- এই বিষয়ে টিউটোরিয়াল পড়তে পড়তে শিখেছি html, css ইত্যাদি ট্যাগ।
এখানে শেষ নয়... আরও কিছু শিখেছি। যা না লিখে সরাসরি দিয়ে দিলাম নিচে। নিচের এনিমেশন গুলো দেখে বিচার আপনারাই করবেন। আমার শ্রম কি একেবারে বৃথা গিয়েছে? কিন্তু শিখার জন্য যে আমার মাথায় একটা প্রবল আগ্রহ ঢুকে গেছে তা কিছুতেই বের করে ফেলে দিতে পারছি না। কিন্তু কিভাবে? নির্দিষ্ট গাইট লাইন ছাড়া সারা অনলাইনে দৌড়ে দৌড়ে কি শেখা সম্ভব। হয়তো সম্ভব। কিন্তু কারো না কারো সহযোগিতার তো প্রয়োজন আছে। তাই এই বিষয়ে যারা অভিজ্ঞ তাদের সহযোগিতায় কামনায় আমার এই লেখা। আশা করি সহযোগিতা করে বাধিত করবেন। ধন্যবাদ এতক্ষণ কষ্ট করে আমার বোকা মার্কা লেখাটা পড়ার জন্য।
লেখাটা শুরু করার আগে কলিকাতার মজার গল্পটা শুনুন- কলিকাতা শহরে নাকি পকেট মারের উপদ্রব খুবই বেশী। পকেটে টাকা নিয়ে কলিকাতা শহরে গিয়ে পকেটমারের হাত বাঁচতে পেড়েছে এমন মানুষ নাকি খোঁজে পাওয়া দুষ্কর। তাই শুনে এক লোক পকেটে কিছু টাকা নিয়ে কলিকাতা শহরের এপাশ ওপাশ হেঁটে পকেটে তার টাকাগুলো ঠিকঠাক আছে দেখে গর্বের সাথে চিৎকার করে বলল “কলিকাতা শহরে নাকি কেউ টাকা নিয়ে হাঁটতে পারে না, পকেটমারে মেরে দেয়, অথচ আমি পকেটে টাকা নিয়ে শহরের এপাশ ওপাশ কয়েকবার হেঁটেছি আমার পকেট থেকে কেউ টাকা নিতে পারেনি” কথাটা শুনে এক পকেটমার বলল- “ভাই আপনার পকেটে চারটা ছেঁড়া এক টাকার নোট আছে, আমি তা চারবার নিয়ে চারবার আপনার পকেটে রেখে দিয়েছি” এবার কলিকাতা শহরে পকেট মার আছে নাকি নাই সেটা আপনারা ভাবতে থাকেন আমি আমার পরবর্তী কথায় চলে যাচ্ছি।
এক সময় আমাদের দেশে কেউ দুই কেজি চাল নিয়ে রাতে রাস্তা দিয়ে যেতে পারত না, ঝাপটাবাজরা কেড়ে নিত। পকেটে টাকা নিয়ে বাজারে গেলে পকেটমার থেকে বাঁচতে পেরেছে এমন লোকের সংখ্যা খুবই কম। প্রতি বাজারবারে দুই চারটা পকেট মারের কথা শুনতাম। প্রায় রাতে ঝাপটাবাজরা পদচারীদের সর্বস্ব কেড়ে নেওয়ার কথা শুনতাম। এখন সেটা তেমন একটা শুনা যায় না। কেন শুনা যায়না, আমাদের দেশের পকেটমার আর ঝাপটাবাজরা ভাল হয়ে গেছি নাকি কলিকাতা শহরের ঐ পকেটমারের অবস্থা হয়েছে সেটা আমি জানি না। আপনারা বিশ্লেষণ করে বের করার চেষ্টা করেন। ততক্ষণে আমি আসল কথাটা বলি।
গত বছর বর্ষাকালে বাড়ী থেকে ছাতা নিয়ে দোকানে এসে ভেজা ছাতাটা বাইরে রেখে দোকান খুলে কিচ্ছুক্ষণ পর ছাতাটা খোঁজতে গিয়ে দেখি ছাতাটা নেই, এর কয়েকদিন আগে রিক্সায় করে আসার সময় রিক্সাতে একটা ছাতা ফেলে এসেছিলাম, পরে তাও আর খুঁজে পাওয়া যায়নি। বউয়ের অনেক বকাও শুনেছি। এই বছর একটা ছাতা পাঁচদিন ধরে দোকানের বাইরে রাখছি অথচ কেউ নিচ্ছে না। তবে আলামত দেখে বুঝতে পেরেছি ছাতাটা একটু নাড়াচাড়া হয়েছে। কেন নেয়নি, যারা বুদ্ধিমান তারা হয়তো এতক্ষণে বুঝে গেছেন। যারা বুঝেননি তাদের জন্য বলছি- আমার ছাতাটার ফলা ভাঙ্গা, খিলি নাই, বলতে গেলে ব্যবহারের প্রায় অনুপযোগী। তাহলে দেশে চোর নাই, ঝাপটাবাজ নাই, আমি কি দাবী করতে পারি?